জাহাঙ্গীর নগর বিশ্ববিদ্যালয় একটি পূর্ণাঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়।
১৯৭০ সালে জাহাঙ্গীরনগর মুসলিম বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠিত হয়। ১৯৭৩ সালে এটির নামকরণ করা হয় জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়। ঢাকা শহরের মুঘল আমলের নাম "জাহাঙ্গীরনগর" থেকে এই নামকরন করা হয় । প্রথম ব্যাচে ১৫০ জন ছাত্র নিয়ে ৪ টি বিভাগ চালু হয়। বিভাগগুলো হচ্ছে অর্থনীতি, ভূগোল, গণিত এবং পরিসংখ্যান। ১৯৭১ সালের ১২ জানুয়ারি তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানের গভর্নর জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় উদ্বোধন করেন । তার আগে ১৯৭০ সালের ২৪ সেপ্টেম্বর মাসে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম উপাচার্য নিযুক্ত হন অধ্যাপক মফিজ উদ্দিন। পরবর্তীতে বিভিন্ন সময় এই বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন প্রখ্যাত কবি সৈয়দ আলী আহসান, লোকসাহিত্যবিদ মজহারুল ইসলাম, লেখক জিল্লুর রহমান সিদ্দিকী, আ ফ ম কামালউদ্দিন, আমিরুল ইসলাম চৌধুরী, অর্থনীতিবিদ আব্দুল বায়েস, আলাউদ্দিন আহমেদ, খন্দকার মুস্তাহিদুর রহমান প্রমুখ । এই বিশ্ববিদ্যালয়ে আরো শিক্ষকতা করেছেন অধ্যাপক সুনীল কুমার মুখোপাধ্যায়, লেখক হায়াত্ মামুদ, লেখক হুমায়ুন আজাদ, নাট্যকার সেলিম আল দীন, কবি মোহাম্মদ রফিক (সদ্য অবসরপ্রাপ্ত), অধ্যাপক মুস্তাফা নূরুল ইসলাম, আবু রুশদ মতিনউদ্দিন, রাষ্ট্রবিজ্ঞানী দিলারা চৌধুরী, ইতিহাসবিদ বজলুর রহমান খান প্রমুখ । অর্থনীতিবিদ ও রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব আনু মুহাম্মদ, ভাষাবিদ মহম্মদ দানিউল হক, কম্পিউটার বিজ্ঞানী মোহাম্মদ শরীফউদ্দিন, প্রত্নতত্ত্ববিদ সুফী মোস্তাফিজুর রহমান, রসায়নবিদ রবিউল ইসলাম, ইতিহাসবিদ এ কে এম শাহনাওয়াজ, প্লাজমা বিজ্ঞানী এ এ মামুন, গল্পকার মানস চৌধুরী, কবি ও গল্পকার রায়হান রাইন, কবি হিমেল বরকত, ছড়াকার- কবি খালেদ হোসাইন, লেখক আনোয়ারউল্লাহ চৌধুরী প্রমুখ বর্তমানে এই বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ।
এই বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করেন। মুক্তিযুদ্ধের পরে পুরোদমে একাডেমিক কার্যক্রম শুরু হয়। ক্রমে বিভাগের সংখ্যা বাড়তে থাকে। বাংলাদেশের প্রথম নৃবিজ্ঞান ও ব্যবসায় প্রশাসন বিভাগ প্রতিষ্ঠিত হয় এই বিশ্ববিদ্যালয়ে। বাংলাদেশের একমাত্র প্রত্নতত্ত্ব বিভাগও এই বিশ্ববিদ্যালয়ে। শুরুতে দুইটি অনুষদ নিয়ে যাত্রা করলেও পরের বছর কলা ও মানবিকী অনুষদ খোলা হয়। বর্তমানে অনুষদ ৫ টি। বাংলাদেশের স্বায়ত্বশাসিত প্রধান বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর মধ্যে ছাত্রসংখ্যায় এটি ক্ষুদ্রতম। কিন্তু বিভিন্ন জাতীয় ও অভ্যন্তরীন আন্দোলনে এই বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রীরা উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রাখে। এরশাদ সরকারের আমলে শিক্ষা আন্দোলন ও ১৯৯০ সালের স্বৈরাচার বিরোধী গণআন্দোলনে ছাত্ররা অংশগ্রহণ করে। ১৯৮৯ থেকে বিভিন্ন সময় ছাত্ররা ছাত্রশিবিরকে বিশ্ববিদ্যালয় প্রাঙ্গনে প্রতিহত করে। ১৯৯৮ সালে ধর্ষণের দায়ে অভিযুক্ত ছাত্রলীগ নেতা মানিক ও তার সঙ্গীরা শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের মুখে বিতাড়িত হয়। পূণরায় প্রত্যাবর্তন করলে ১৯৯৯ সালের ২রা আগস্ট তারিখে শিক্ষার্থীদের এক অভ্যুত্থানে ওই অভিযুক্তরা পূণরায় বিতাড়িত হয়।[১] এই আন্দোলন দক্ষিণ এশিয়ার বৃহত্তম যৌন নিপীড়ন বিরোধী আন্দোলন বলে পরিচিত। পরে ২০০৫, ২০০৬, ২০০৮ ও ২০১০ সালে বিশ্ববিদ্যালয়ের চার শিক্ষকের বিরুদ্ধে যৌন নীপিড়ন বিরোধী আন্দোলন হয়। এছাড়া বিভিন্ন সময় বেতন ও ডাইনিং চার্জ বৃদ্ধি বন্ধ, গণতান্ত্রিক অধিকার প্রতিষ্ঠা, পানি সরবরাহ, আর্থিক স্বচ্ছতাসহ বিভিন্ন দাবিতে ছাত্র সংগঠনগুলো আন্দোলন করে।
বিদ্যায়তনিক পরিসরে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের কর্মকান্ড উল্লেখযোগ্য। মৌলিক বিজ্ঞানের বিষয়গুলোতে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় অত্যন্ত সমৃদ্ধ। এছাড়া উয়ারী ও বটেশ্বরে প্রত্নতত্ত্ব বিভাগের খননকার্য, দেশীয় নাট্যচর্চায় নাটক ও নাট্যতত্ত্ব বিভাগের অবদান, বিদ্যায়তনিক নৃবিজ্ঞান চর্চায় নৃবিজ্ঞান বিভাগের পথপ্রদর্শন সুবিদিত। ইতিহাস বিভাগের "ক্লিও", নৃবিজ্ঞান বিভাগের "নৃবিজ্ঞান পত্রিকা", বাংলা বিভাগের "ভাষা ও সাহিত্য পত্র", ইংরেজি বিভাগের "হারভেস্ট", দর্শন বিভাগের "কপুলা"সহ ২৬ টি বিভাগের ভিন্ন ভিন্ন প্রকাশনা গবেষণায় উল্লেখযোগ্য স্বাক্ষর রেখেছে।
বর্তমানে ৫ টি অনুষদের অধীনে ২৭ টি বিভাগ এবং ৪ টি ইনস্টিটিউট রয়েছে। এগুলো হল -
জার্নালিজম এন্ড মিডিয়া স্টাডিজ বিভাগটি ২০১২ সালের ১৭ ডিসেম্বর জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের কলা ও মানবিকী অনুষদের একটি বিভাগ হিসেবে আনুষ্ঠানিকভাবে যাত্রা শুরু করে। বিভাগটির প্রথম সভাপতির (ভারপ্রাপ্ত) দায়িত্ব পালন করেন কলা ও মানবিকী অনুষদের ডিন অধ্যাপক অসিত বরণ পাল। সঙ্গে চারজন প্রভাষক আমিনা ইসলাম, উজ্জ্বল মণ্ডল, শেখ আদনান ফাহাদ ও রাকিব আহমেদ বিভাগটিতে নতুন প্রাণের সঞ্চার করেন। প্রথম বর্ষে ৬৬ জন শিক্ষার্থী নিয়ে বিভাগটিতে প্রথম ক্লাস শুরু হয় ২০১২ সালের ২২ ডিসেম্বর। বর্তমানে বিভাগটিতে দুটি সেশনে শতাধিক শিক্ষার্থী রয়েছে। এছাড়া তিনজন অফিস সহকারী রয়েছেন। অধ্যাপক অসিত বরণ পাল কলা ও মানবিকী অনুষদের ডিন হিসেবে পদাধিকার বলে বিভাগটির সভাপতি হলেও পরবর্তীতে নাটক ও নাট্যতত্ত্ব বিভাগের অধ্যাপক লুৎফর রহমানকে সভাপতির (ভারপ্রাপ্ত) দায়িত্ব দেওয়া হয়। বর্তমানে (২০১৩) অধ্যাপক লুৎফর রহমান সভাপতির দায়িত্ব পালন করছেন।
এটি সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের একটি বিভাগ হলেও এর সার্টিফিকেট দেয়া হয় এম. এস.সি.।
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় বাংলাদেধের একটি স্বনামধন্য বিশবিদ্যালয়। এই বিশ্ববিদ্যালয়টি ১৯৭০ সালে ঢাকার অদূরে সাভারে দেশের একমাত্র আবাসিক বিশ্ববিদ্যালয়রূপে প্রতিষ্ঠিত হয়। এ বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন কলা ভবনের সম্মুখে ১৯৫২ সালের ভাষা-আন্দোলনের ও ১৯৭১সালের মুক্তিযুদ্ধের প্রতীক হিসাবে ৫২ ফুট ব্যাস ও ৭১ ফুট উচ্চতা বিশিষ্ট বাংলাদেশের সবচেয়ে উঁচু শহীদ মিনারটি অবস্থিত। ৮টি সিঁড়ি ও ৩টি স্তম্ভ বিশিষ্ট; দৃঢ়তার প্রতীক ত্রিভুজ আকৃতির ঋজু কাঠামটিতে বাংলাদেশ ও দেশের মানুষের জন্য মহান বীর শহীদ-গণের আত্মত্যাগের মহিমা বিধৃত হয়েছে। ৮টি সিঁড়ি বাংলাদেশের অভ্যুদয়ের ৮টি তাৎপর্যপূর্ণ বছর ১৯৪৭, ১৯৫২, ১৯৫৪, ১৯৬২, ১৯৬৬, ১৯৬৯, ১৯৭০ ও ১৯৭১ সাল-গুলোর এবং তিনটি স্তম্ভের একটি বাংলাভাষা-সাহিত্য-সংস্কৃতি ও অপর দুইটি মাটি ও মানুষ এবং স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব-অর্থনৈতিক মুক্তি ও গণতান্ত্রিক চেতনার প্রতিনিধিত্ব করে। জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের সবুজ-শ্যামল প্রাঙ্গনে রক্তাভ এই শহীদ মিনারটি যেন শতত্যাগের বিনিময়ে অর্জিত আমাদের লাল-সবুজ জাতীয় পতাকা হিসেবেই প্রতীয়মান। স্থপতি - স্থপতি রবিউল হুসাইন ভিত্তিপ্রস্থর স্থাপন - প্রফেসর খন্দকার মুস্তাহিদুর রহমান (২২ কার্তিক ১৪১১ ~ ৬ নভেম্বর ২০০৪), উদ্বোধন - প্রফেসর খন্দকার মুস্তাহিদুর রহমান (১ ফাল্গুন ১৪১৪ ~ ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০০৮)
বিশ্ববিদ্যালয় গ্রন্থাগারের সামনে রয়েছে মুক্তিযুদ্ধের স্মারক ভাস্কর্য "সংশপ্তক" । এই ভাস্কর্যে এক পা ও এক হাত হারিয়েও এক সংশপ্তক মুক্তিযোদ্ধা বিজয়ের হাতিয়ার উর্ধে তুলে ধরেছেন । এর স্থপতি হচ্ছেন একুশে পদক প্রাপ্ত হামিদুজ্জামান খান ।
সমাজবিজ্ঞান ভবনের সামনে রয়েছে ভাষা আন্দোলনের স্বরণে ভাস্কর্য "অমর একুশ" । এর স্থপতি হামিদুর রহমান ।
এছাড়া কবির স্মরণী নামের রাস্তার শুরুতে সাম্প্রদায়িকতা বিরোধী আন্দোলনে শহীদ ছাত্রদল নেতা হাবিবুর রহমান কবীরের স্মরণে এবং আল বিরুনী হলের সামনে সড়ক দূর্ঘটনায় নিহত শিক্ষার্থী মুন্নির স্মরণে দুটি স্মারক আছে ।
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় বাংলাদেশের অন্যতম আবাসিক বিশ্ববিদ্যালয়। অর্থাৎ, প্রত্যেক ছাত্র-ছাত্রীর জন্য এখানে হলে একটি করে আসন নির্দিষ্ট থাকার কথা। তবে স্নাতক (সম্মান) শ্রেণীর সময়সীমা বৃদ্ধি ও দেরীতে পরীক্ষা গ্রহণের কারণে বর্তমানে প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থীরা বেশ দেরীতে আসন পায় । বর্তমানে বিশ্ববিদ্যালয়ের মোট হল সংখ্যা ১২ টি, এর মধ্যে ছাত্রদের জন্য ৭টি এবং ছাত্রীদের জন্য ৫টি হল রয়েছে।
আসন ৫০০+, স্থাপিত ১৯৭০
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের এক দৃঢ় ও শোভন, নন্দি ও মনোরম আবাসিক ভবনের নাম "মীর মশাররফ হোসেন হল।" ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের পাশে ঘন সবুজবেষ্টনীর ভেতর মাথা তুলে দাঁড়িয়েছে এই শীর্ষমুখী লাল দালান। ছাত্রদের জন্যে নির্মিত হয়েছে ১৯৭৩ সালে। বিষাদ সিন্ধু খ্যাত লেখক মীর মশাররফ হোসেনের নাম অনুসারে এর নাম করা হয়েছে মীর মশাররফ হোসেন হল। মূল ভবনটি দুটি ব্লকে বিভক্ত(ব্লক-এ এবং ব্লক-বি)। এই হলের মোট কক্ষ সংখ্যা মোট ৪৯০টির মাঝে ২৬৪টি হলো একক কক্ষ, যেগুলো পূর্ব-পশ্চিম সারিতে অবস্থিত। আর বাকি দ্বৈত কক্ষগুলো ৪৫ ডিগ্রী কোণ তৈরি করে একক কক্ষগুলোর সাথে দাড়িয়ে আছে। এর আসন সংখ্যা ৭০০ টি।
আসন ৪০০, স্থাপিত ১৯৮৭
আসন ২০০, স্থাপিত ১৯৮৬
আসন ৭৬৮, স্থাপিত ১৯৯২
আসন ৭৬৮, স্থাপিত ?
আসন ?, স্থাপিত ?
আসন ২০০+, স্থাপিত ?
আসন ৪০০+, স্থাপিত ১৯৯৮
আসন ৪০০+, স্থাপিত ১৯৯৮
আসন ৪০০+, স্থাপিত ২০০৫
আসন ?+, স্থাপিত ২০১০
বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের মধ্যে বিভিন্ন সংগঠন রয়েছে ।
বিশ্ববিদ্যালয়ে সক্রিয় রাজনৈতিক সংগঠনগুলো হল বাংলাদেশ ছাত্রলীগ (রি-রো), বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়ন, জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল, সমাজতান্ত্রিক ছাত্রফ্রন্ট, এবং বাংলাদেশ ছাত্র ফেডারেশন।
উল্লেখযোগ্য সাংস্কৃতিক সংগঠনের মধ্যে রয়েছে জাহাঙ্গীরনগর থিয়েটার, ধ্বনি, চলচ্চিত্র আন্দোলন, জলসিঁড়ি, জহির রায়হান চলচ্চিত্র সংসদ, আনন্দন, চারণ সাংস্কৃতিক কেন্দ্র, জাহাঙ্গীরনগর ফটোগ্রাফিক সোসাইটি, জাহাঙ্গীরনগর ইউনিভার্সিটি ডিবেট অর্গানাইজেশন, জাহাঙ্গীরনগর ইউনিভার্সিটি ডিবেটিং সোসাইটি, উত্থানপাঠ, প্রপদ, জাহাঙ্গীরনগর স্টুডেন্টস ফিল্ম সোসাইটি, কহনকথা, অস্তিত্ব প্রভৃতি । দশটি সাংস্কৃতিক সংগঠন সামাজিক ও রাজনৈতিক কাজের জন্য জোটবদ্ধ হয়ে জাহাঙ্গীরনগর সাংস্কৃতিক জোট গঠন করেছে ।
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের বিভিন্ন সাংস্কৃতিক সংগঠন ও লেখক-শিল্পী-সাংস্কৃতিক কর্মীদের সমন্বিত সামাজিক-রাজনৈতিক জোট বা সংগঠন । জোট ১৯৯৮ সালে প্রতিষ্ঠিত হয় । স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলনের সময় থেকে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের বেশকিছু সাংস্কৃতিক সংগঠন ঐক্যবদ্ধ হয়ে আন্দোলন করে । পরে বিভিন্ন জাতীয় ও স্থানীয় আন্দোলনে সংগঠনগুলো একইভাবে অংশগ্রহণ করে । বিশ্ববিদ্যালয়ের মুক্তমঞ্চে এক ছাত্রসভায় সাংস্কৃতিক সংগঠনগুলোর জোট ছাত্রশিবিরকে নিষিদ্ধ করে । এই সকল আন্দোলনের ধারাবাহিকতায় একটি স্থায়ী কাঠামোর প্রয়োজন অনুভূত হয় । এভাবেই আটানব্বুই সালে ধর্ষণ বিরোধী আন্দোলনের ময়দানে যাত্রা করে জাহাঙ্গীরনগর সাংস্কৃতিক জোট ।
বর্তমানে এই জোটে ১০টি সংগঠন রয়েছেঃ
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে বিভিন্ন সেবামূলক ও স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন কাজ করে। এছাড়া রয়েছে বিভিন্ন জেলার ছাত্র কল্যাণ সমিতি।
পরিকল্পনা ও বাস্তবায়নে: মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, এটুআই, বিসিসি, ডিওআইসিটি ও বেসিস