Wellcome to National Portal
মেনু নির্বাচন করুন
Main Comtent Skiped

শিরোনাম
মিলিটারি ফার্ম অরণ্যালয় মিনি চিড়িয়াখানা
স্থান

সাভার 

কিভাবে যাওয়া যায়

ঢাকা থেকে স্মৃতিসৌধে সরাসরি যাওয়ার জন্যে রয়েছে বিআরটিসি বাস সার্ভিস। যা মতিঝিল-গুলিস্তান থেকে শাহবাগ, ফার্মগেট, আসাদগেট, শ্যামলী, গাবতলী, সাভার হয়ে স্মৃতিসৌধে যায়। এছাড়া মতিঝিল ও গুলিস্তান থেকে হানিফ, নন্দন সুপার বাস ও গ্রীনওয়ে বাস সার্ভিস সরাসরি নবীনগর পর্যন্ত যাতায়াত করে। এছাড়া মিরপুর ১২ নম্বর থেকে ছেড়ে আসা তিতাস পরিবহন মিরপুর ১০, মিরপুর ১, ট্যাকনিক্যাল, গাবতলী, সাভার হয়ে স্মৃতিসৌধে যায়।। বাস থেকে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের গেটে নেমে সেখান থেকে হেঁটে আসা যাবে অরণ্যালয়ে।

বিস্তারিত

গাবতলী থেকে মাত্র ১৭ কিলোমিটার দূরে সাভারে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের কাছেই অবস্থিত ‘অরণ্যালয়’। মূলত এটি সাভার মিলিটারি ফার্মের একটি চিড়িয়াখানা ও পিকনিক স্পট। এটি সবার জন্যই উন্মুক্ত। ১৯৯৯ সালের ২৭ ফেব্রুয়ারি এর যাত্রা শুরু হয়।হাইওয়ে রোড থেকে নেমে একটু হাঁটলেই অরণ্যালয় চিড়িয়াখানা। শান্ত নিরিবিলি এ বনের পথে যখন হাঁটবেন, তখন চারপাশ থেকে পাখির ডাক শুনে বেশ ভালোই লাগবে। মনে হবে পাখিরা আপনাকে তাদের রাজ্যে আমন্ত্রণ জানাচ্ছে। পাখির ডাক শুনতে শুনতেই কিছুক্ষণের মধ্যে চলে আসবেন চিড়িয়াখানার সামনে।

চিড়িয়াখানায় আছে মায়া হরিণ, চিত্রা হরিণ, সাম্বার হরিণ, খরগোশ, গিনিপিগ, ময়ূর, টারকী, কালিম, টিয়া, ককটেল ও গোল্লা কবুতর, বানর, রেসাস বানর, হনুমান, ভাল্লুক, অজগর সাপ, টিয়া ও তিতির মুরগি। এছাড়া চিড়িয়াখানার মাঝখানটায় রয়েছে কৃত্রিম একটি বাঘের ভাস্কর্য। চিড়িয়াখানার পাশেই যে বন আছে, সেখানে বসার চমৎকার বৈঠকখানা ও চেয়ার রয়েছে। এছাড়া চিড়িয়াখানার এক পাশে বিশাল একটি পুকুরও রয়েছে। পুকুরের চারপাশেও বসার ব্যবস্থা আছে। বসে যদি চা-চটপটি খেতে চান তার ব্যববস্থাও চিড়িয়াখানার ভেতর রয়েছে।

একা একা কিংবা বন্ধু-বান্ধব নিয়ে এখানে অনায়াসে বেড়াতে আসতে পারেন। এছাড়া এখানকার চিড়িয়াখানার পাশেই কয়েকটি পিকনিট স্পটও রয়েছে। শিশুদের জন্য এখানে খেলাধুলার ব্যবস্থাও আছে। তাই চাইলে অফিস বা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের পিকনিকও এখানে করতে পারেন। সব মিলিয়ে অরণ্যঘেরা এ নিরিবিলি প্রাকৃতিক পরিবেশে দিন কাটিয়ে দেয়া যাবে মনের আনন্দেই।
অরণ্যালয়ের আশপাশে কোনো বাজার নেই। তাই এখানে এলে দুপুরের খাবার সঙ্গে করেই আনতে হবে। নইলে মাত্র ৫ মিনিট হাঁটলেই জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের গেট। চাইলে এখানে এসেও খেতে পারেন দুপুরের খাবার।

প্রয়োজনীয় তথ্য : এখানকার প্রবেশমূল্য ১০ টাকা। এটি খোলা থাকে মার্চ থেকে সেপ্টেম্বর প্রতিদিন সকাল ৭টা থেকে বিকাল ৬টা এবং অক্টোবর থেকে ফেব্রুয়ারি সকাল ৮টা থেকে বিকাল ৫টা পর্যন্ত।