রাজধানীর প্রাণকেন্দ্র থেকে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের দূরত্ব মাত্র ৩২ কিলোমিটার। রাজধানী ঢাকার কল্যাণপুর, গুলিস্তান, ফার্মগেইট এবং গাবতলী বাস টার্মিনাল থেকে নবীনগর অথবা মানিকগঞ্জগামী যেকোন বাসে চড়ে সরাসরি জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসের সামনে আসতে পারবেন। আর পুরো বিশ্ববিদ্যালয় ঘুরে দেখতে রিকশাকে মাধ্যম হিসাবে বেছে নিতে পারেন।
ঢাকা জেলার অন্তর্গত সাভার উপজেলায় ১৯৭০ সালে মনোমুগ্ধকর প্রাকৃতিক পরিবেশে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় (Jahangirnagar University) স্থাপন করা হয়েছে৷ সমগ্র বিশ্ববিদ্যালয় এলাকার আয়তন প্রায় ৬৯৭.৫৬ একর। এটি বাংলাদেশের একমাত্র পূর্ণাঙ্গ আবাসিক বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে সুপরিচিত। জীব বৈচিত্রে অন্যোন্য জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রায় ৩০০ একর জায়গা জুড়ে আছে প্রজাপতি গার্ডেন (Butterfly Garden)৷ এখানে বিভিন্ন জাতের ফুলের বাগানে ঘুরে প্রায় ১১০ প্রজাতির প্রজাপতি সৌন্দর্য উপভোগের পাশাপাশি এদের সম্পর্কে জ্ঞানার্জন করার সুযোগ আছে। এই বাগানে প্রাকৃতিক ও কৃত্রিম প্রজননের মাধ্যমে আরো নতুন নতুন প্রজাপতি উৎপাদন করে বাগানে ছাড়া হয়।
শীতকালে সবুজে মোড়া জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসের লেকে অতিথি পাখির মেলা বসে। অতিথি পাখির মধ্যে আছে খঞ্জনা, সরালি, পাতিতারা, পাতারিহাঁস, গয়ার, নোনাজোৎসা, লালমুড়ি, ধুপানি, সিন্ধু ঈগল, বামুনিয়া হাঁস, হুড হুড, বাড়িঘোরা ইত্যাদি। অতিথি পাখির কলতান, জলকেলী ও লেকের জলে ফোটা লাল শাপলার সৌন্দর্য এক অন্যোন্য প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের সৌরভ বিলিয়ে যায় সমগ্র ক্যাম্পাস জুড়ে। ফলে শীত এলেই পাখিপ্রেমীদের মিলনমেলায় পরিণত হয় এই বিশ্ববিদ্যালয়।
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে ছোট বড় মিলিয়ে প্রায় ১৭ টি লেক রয়েছে। তবে জাহানারা ইমাম ও প্রীতিলতা হল, প্রশাসনিক ভবন এবং মীর মশাররফ হোসেন হল সংলগ্ন লেকে সবচেয়ে বেশী অতিথি পাখি দেখা যায়। তাই বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ইতিমধ্যেই লেকগুলোকে অতিথি পাখির অভয়াশ্রম হিসাবে ঘোষণা করেছে।
এই অতিথি পাখিগুলো মূলত ভারত, নেপাল, মঙ্গোলিয়া, সাইবেরিয়া এবং জিনজিয়াং থেকে বাংলাদেশে আসে। অক্টোবর মাসের শেষ ভাগ থেকে শুরু করে মার্চ মাস পর্যন্ত এরা জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে অবস্থান করে।
পরিকল্পনা ও বাস্তবায়নে: মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, এটুআই, বিসিসি, ডিওআইসিটি ও বেসিস