Wellcome to National Portal
মেনু নির্বাচন করুন
Main Comtent Skiped

শিরোনাম
সাভার স্মৃতিসৌধ
স্থান

নবীনগর

কিভাবে যাওয়া যায়

ঢাকা থেকে স্মৃতিসৌধে সরাসরি যাওয়ার জন্যে রয়েছে বিআরটিসি বাস সার্ভিস। যা মতিঝিল-গুলিস্তান থেকে শাহবাগ, ফার্মগেট, আসাদগেট, শ্যামলী, গাবতলী, সাভার হয়ে স্মৃতিসৌধে যায়। এছাড়া মতিঝিল ও গুলিস্তান থেকে হানিফ, নন্দন সুপার বাস ও গ্রীনওয়ে বাস সার্ভিস সরাসরি নবীনগর পর্যন্ত যাতায়াত করে। এছাড়া মিরপুর ১২ নম্বর থেকে ছেড়ে আসা তিতাস পরিবহন মিরপুর ১০, মিরপুর ১, ট্যাকনিক্যাল, গাবতলী, সাভার হয়ে স্মৃতিসৌধে যায়।

যোগাযোগ

0

বিস্তারিত

ঢাকা

জাতীয় স্মৃতিসৌধ

Written by admin

১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধে আত্মদানকারী বীর শহীদদের স্মরণে জাতির শ্রদ্ধা নিবেদনের চিরন্তন প্রতীক জাতীয় স্মৃতিসৌধ । বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকা থেকে ৩৫ কিলোমিটার উত্তর পশ্চিমে সাভার উপজেলায় ৪৪ হেক্টর জায়গা নিয়ে স্থাপন করা হয়েছে স্মৃতি সৌধ কমপ্লেক্স। ১৯৭১ এর ডিসেম্বরে সাভারের রক্তক্ষয়ী যুদ্ধ, মুক্তিযোদ্ধাদের চূড়ান্ত বিজয়,তাদের বীরত্ব ও আত্মত্যাগ স্মরণ করে স্মৃতি সৌধ সাভারে নির্মাণের পরিকল্পনা নেওয়া হয়। ৫৭টি সেরা নকশার মধ্য থেকে স্থপতি সৈয়দ মইনুল হোসেনের নকশাকে নির্বাচন করা হয়। ১৯৮২ সালের কিছু পর স্মৃতিসৌধের মূল কাঠামো, কৃত্রিম লেক এবং উদ্যান তৈরির কাজ সমাপ্ত হয়।

সৌধের মূলকাঠামো সাত জোড়া ত্রিভূজাকৃতির দেয়াল নিয়ে গঠিত। দেয়ালগুলো ছোট থেকে বড় এই ক্রমে সাজানো হয়েছে। মাঝখানের দেয়ালটি দৈর্ঘ্যে সবচেয়ে ছোট কিন্তু উচ্চতায় সবচেয়ে বেশি। সর্বোচ্চ বিন্দুতে সৌধটি ১৫০ ফুট উঁচু। বিভিন্ন দৃষ্টিকোণ থেকে সৌধটি ভিন্ন ভিন্ন ভাবে দৃষ্টিগোচর হয়। স্থপতি মইনুল হোসেন সৌধের মূল কাঠামোটি কংক্রিটের এবং কমপ্লেক্সের অন্যান্য স্থাপনা লাল ইটের তৈরি করেন। মূল সৌধের গাম্ভীর্য ও স্বাতন্ত্র্য রক্ষার জন্য এই পার্থক্য। এর দ্বারা রক্তের লাল জমিতে স্বাধীনতার স্বতন্ত্র উন্মেষ নির্দেশ করা হয়েছে।

পুরো কমপ্লেক্সে রয়েছে কৃত্রিম জলাশয়, বাগান এবং গণকবর। ১৯৭১ এ সাভারে পাকিস্তানী হানাদার বাহিনীর বিরুদ্ধে মুক্তিযোদ্ধাদের এক বড় যুদ্ধ হয়। অনেক মুক্তিযোদ্ধা সে যুদ্ধে শহীদ হন। এই চূড়ান্ত যুদ্ধে বাংলাদেশের বিজয় ও পাকিস্তানের পরাজয় নির্ধারিত হয়। এর আগে পাকিস্তানী সেনাবাহিনী সাভার এলাকার গ্রাম থেকে অনেক বাঙালিকে বন্দী করে ক্যাম্পে নিয়ে আসে। নির্যাতনের পর তাদের হত্যা করা হয়। অসংখ্য গ্রামবাসীকে ব্রাশ ফায়ারে হত্যা করে নিচু জমিতে ফেলে রাখা হয় বা মাটি চাপা দিয়ে রাখা হয়। যুদ্ধের পর এই এলাকায় আবিষ্কৃত হয় বধ্যভূমি ও গণকবর। এই গণকবরগুলো স্মৃতিসৌধ কমপ্লেক্সে অবস্থিত। জাতীয় স্মৃতি সৌধের মূল কাঠামোর সামনেই রয়েছে একটি জলাশয়। এখানে প্রতিফলিত হয় জাতীয় স্মৃতি সৌধের মূল কাঠামো এবং জাতীয় পতাকা। এই জলাশয়ে ফুটে আছে অসংখ্য শাপলা ফুল।বাংলাদেশের জাতীয় ফুল।

সাভার জাতীয় স্মৃতিসৌধে প্রবেশের জন্য কোন প্রবেশ মূল্য নেই। প্রতিদিন সকাল ৬টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত খোলা থাকে।

স্মৃতিসৌধে সাতটি স্তম্ভ কেন?

স্মৃতিসৌধটি সাত জোড়া ত্রিভুজ নিয়ে গঠিত। জাতীয় স্মৃতিসৌধের সাত জোড়া দেয়াল স্বাধীনতা আন্দোলনের সাতটি ভিন্ন পর্যায় নির্দেশ করে। পর্যায়গুলো হলো :

১. ১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলন।
২. ১৯৫৪ সালের যুক্তফ্রন্ট নির্বাচন।
৩. ১৯৫৬ সালের শাসনতন্ত্র আন্দোলন।
৪. ১৯৬২ সালের শিক্ষা আন্দোলন।
৫. ১৯৬৬ সালের ছয় দফা আন্দোলন।
৬. ১৯৬৯-এর গণঅভ্যুত্থান এবং
৭. ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধ।

এই সাতটি ঘটনাকে স্বাধীনতা আন্দোলনের পরিক্রমা হিসেবে বিবেচনা করেই সৌধটি নির্মাণ করা হয়েছে।